প্রকাশিত: ২৯/০৩/২০১৭ ১২:৫৬ পিএম , আপডেট: ২৯/০৩/২০১৭ ১২:৫৮ পিএম

ঢাকা: সিলেটে একটি আবাসিক ভবনে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গোপনে অবস্থানকৃত সন্ত্রাসীদের দমনের লক্ষ্যে সফল অভিযান পরিচালনার জন্য আমি আমাদের সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোবৃন্দসহ দেশরক্ষা বাহিনীর প্রতি অভিনন্দন জানাচ্ছি। মঙ্গবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, অভিযানে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এবং যে-সব সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন, তাদের প্রতি জ্ঞাপন করছি শোক ও সহানুভূতি। সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি ধর্মীয় জঙ্গীবাদের নামে পরিচালিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিস্তারে দেশবাসীর মতো আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।

জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে জনমনে স্বচ্ছতার প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বর্তমানে স্পর্শকাতর একটি সময়ে জঙ্গিবাদের আকস্মিক বিস্তার এবং দমন অভিযানে স্বচ্ছতার অভাবে জনমনে নানা প্রশ্ন ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমস্যাকে জাতীয়ভাবে মোকাবেলার জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে কেবলমাত্র দমন অভিযান চালিয়ে সমাজ থেকে জঙ্গীবাদের শেকড় পুরোপুরি উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। দু’একটি দমন অভিযানের সাফল্যে আত্মপ্রসাদ লাভ করারও কোনো সুযোগ নেই। মুসলিমপ্রধান এই দেশটিতে গণতন্ত্রহীনতা, জবাবদিহিতাহীন শাসন, দুর্নীতি, সুবিচারের অভাব এবং যুব সমাজের বেকারত্বই জঙ্গীবাদ বিস্তারের প্রধান কারণ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর ও খুবই স্পষ্ট মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হবার পর দেশব্যাপী এই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটে। ২০০১ সালে নির্বাচিত হয়ে আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর আমাদের সরকারও জঙ্গীবাদের এই সংকটের মুখোমুখি হয়। আমরা কঠোর হাতে তা দমন করি।

তিনি বলেন, বিশেষ কোনো সরকার বা দলের নয়, এটি একটি জাতীয় সমস্যা। তাই দোষারোপের রাজনীতি না করে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের সমস্যাকে জাতীয়ভাবে মোকাবিলার জন্য আমি ক্ষমতাসীনদের প্রতি আবারো আহ্বান জানাচ্ছি।

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...